সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিরগৌরবে সমুজ্জ্বল মহান বিজয় দিবস আজ হাওরে হানাদারদের নৌ-যোগাযোগ ভেঙে দিয়েছিল দাসপার্টি তাহিরপুরে সেতুর কাজ ফেলে চলে গেছেন ঠিকাদার কোটি টাকার মার্কেট এখন গরু-ছাগলের বিচরণক্ষেত্র হাদির সিটিস্ক্যান রিপোর্টে মস্তিস্কের আরও অবনতি বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ বিচার বিভাগ কখনো পুরোপুরি স্বাধীনতা পায়নি ‎আল আকসা কিন্ডারগার্টেনের বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা যেকোনও মূল্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান পিআইসি গঠনে গৌরারং ও কাঠইর ইউনিয়নে গণশুনানি সুনামগঞ্জের ১২০ কিলোমিটার সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান স্বামী-সৎ ছেলের বিরুদ্ধে প্রবাসী নারীর অভিযোগ, জমি না দিলে প্রাণে মারবে আঙ্গারুলি হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ মেরামতের দাবি দুটি হাতের রগ কর্তন, ১৮ বছর ধরে ন্যায় বিচারের আশায় প্রতিবন্ধী সহিবুর ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক সুনামগঞ্জে রিটার্নিং-সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হলেন যারা তফসিলকে স্বাগত জানালো জামায়াত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ উদ্বোধন

  • আপলোড সময় : ১৬-১২-২০২৫ ১০:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-১২-২০২৫ ১০:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন
ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জেলার বিভিন্ন হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে সদর উপজেলার কাংলার হাওরের ১নং পিআইসির কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সদর উপজেলা কাবিটা স্কিম প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, এ বছরও জেলার ১২টি উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে কয়েকটি হাওরে সময়মতো পানি না নামায় কিছু বাঁধের কাজ দেরিতে শুরু করতে হয়েছে। ফলে একযোগে সব পিআইসি’র কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। যেসব হাওরে পানি কমবে, সেসব হাওরেই পর্যায়ক্রমে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, কাংলার হাওরের প্রথম পিআইসির বাঁধ নির্মাণ কাজ আজ উদ্বোধন করা হলো। পিআইসি সভাপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে কাজটি স¤পন্ন করতে হবে। কারণ এটি শুধু একটি ফসল রক্ষা বাঁধ নয়, বরং স্থানীয় মানুষের চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ও সময়মতো শেষ করতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, নির্বাচনী সময়কালেও বাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকবে। কর্মকর্তারা একদিকে যেমন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন, তেমনি একই সঙ্গে বাঁধ নির্মাণ কাজের তদারকিও করবেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি মামুন হাওলাদার জানান, সারা জেলায় মোট ৫১০টি স্কিমের আওতায় ৬৫০টি পিআইসি গঠন করা হয়েছে। এসব স্কিম বাস্তবায়নে ১০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জেলার সব ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ স¤পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা জেরিন বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত প্রকল্প স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনঅংশগ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, আগামী বোরো মৌসুমের আগে ফসল রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে সব বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজ সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও মান বজায় রেখে স¤পন্ন করতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আয়েশা বেগম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদিত্য পাল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাত সরকার, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও খায়রুল ইসলাম, রঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, উপজেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক আকরাম উদ্দিনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মী, পিআইসি সদস্য, স্থানীয় কৃষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স